সৈয়দ ওমর ফারুক,বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা গত অর্থবছরে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে জিডিপির এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক।
আগামী দিনে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কেমন থাকে তার ওপর মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ভর করবে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক করা গেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে বিশ্বব্যাংক জানায়, অর্থনীতিতে এখন বিভিন্ন ধরনের বাধা কাজ করছে। ফলে ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে বিনিময় হারকে ধরাবাঁধার বাইরে রাখা, মুদ্রানীতি আধুনিক করা এবং রাজস্ব খাতের সংস্কার করা উচিত। মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সুদের হার পর্যায়ক্রমে তুলে দিতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতের কার্যকর তদারকির মাধ্যমে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এ সময় মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। এতে মানুষ চাপের মুখে পড়েছে।