সালাম মাহমুদ : বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবাখাত,শিল্পায়ন, অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রেই লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন। তবে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের অংশগ্রহণের চেয়েও বেসরকারি খাতের অবদান বেশি। এই বেসরকারি খাতেরই একজন আলোকিত উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি চব্বিশ বছর পেরিয়ে পঁচিশ বছরে পদার্পণ করলো আজ।
দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও বাণিজ্য সফল এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সালের ২৬ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্যাংকটির শুভ উদ্বোধন করেন।
এই ব্যাংকটি শুরু থেকেই শুধু মুনাফার দিকেই জোর দেয়নি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল-এর নিজস্ব উদ্যোগে হত দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এবং গণমানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
এই কৃতি উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব দেশের উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় ফাইভ স্টার হোটেল রেনেসন্স ঢাকা গুলশান হোটেল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই হোটেলটি আন্তর্জাতিক মানের দিক থেকে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের সেবা খাতকেই সমৃদ্ধ করেনি- বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও সমুজ্জ্বল করেছে।
শিক্ষা বিস্তারে মহীরূহ ব্যক্তিত্ব ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল নানামুখী প্রতিভার ভাস্কর এক মহান মানুষ। তিনি নিজ গ্রাম ভৈরবের বাঁশগাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছেন আন্তর্জাতিক মানের ‘ডা. ইকবাল এডুকেশন সিটি’। যা এক অনন্য বিস্ময়। এই এডুকেশন সিটিতে ১৯৮৭ সালে তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন জেড. রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বেসরকারি খাতের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা। বর্তমানে তাঁরই উদ্যোগে সরকার অনুমোদিত শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। উল্লেখ্য, এই এডুকেশন সিটিতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,মেডিকেল কলেজ,নার্সিং কলেজ,পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইটি পার্ক,স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে দেশ বিদেশের প্রায় ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী ৭৭টি বিষয়ে একসাথে পড়ার সুযোগ পাবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল মনে করেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ যা সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি যুদ্ধ করে এই দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সব সময়েই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন শুধু বক্তৃতা দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্যে কাজ করা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই সত্য, কিন্তু তার আদর্শিক সৈনিকেরা বেঁচে আছেন, তারা তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মূলত: ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল তাঁর কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক।
মানবদরদী, উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী মহান ব্যক্তিত্ব ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল ইতোমধ্যে যতো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার সবই বাস্তবায়ন ঘটেছে। তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। অর্থাৎ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে কাজ করে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করছে।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি : সালাম মাহমুদ
এল মল্লিকা কমপ্লেক্স (৭ম তলা),১২ পুরানা পল্টন, ঢাকা - ১০০০।
মোবাইল -০১৭৫০৬১৫৯৪১।
ই-মেইল -banglatv71sm@gmail.com