সাদিয়া সুলতানা: নেত্রকোনার সদর উপজেলা রাজুর বাজার থেকে সিদলি বাজার পর্যন্ত একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ এলাকার বাসিন্দাদের। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ রাস্তাটি এক সময় পরিত্যক্ত ছিল সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয় লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণ বাস্তবে রূপান্তরিত করেছে। সদর উপজেলার রাজুর বাজার থেকে মেদনী ইউনিয়ন হয়ে ১১ নং কালিয়াড়া গাবরাগাতি ইউনিয়নের নাড়িয়াপাড়া মোড় হয়ে সিধলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তাটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নামে কাজের কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে সরকারের কয়েক কোটি টাকা নষ্ট করা হয়। নাড়িয়া পাড়ার সড়কে একটি ব্রিজ গত দুই বছর ধরে ভাঙ্গা রয়েছে। ফলে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিউজ করে জনসম্মুখে তুলে ধরেছে। এরপরেও এলজিডিও অফিস থেকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। লাখ জনগণের মরণফাদে জীবন বিপন্ন। এই ব্রিজে যাতায়াত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ এই রাস্তা নতুন করে নির্মাণ না করে সংস্কার নামে ঢিলে ঢালে কাজ চলছে। এতে করে রাস্তাগুলোর করুন দশা হয়েছে। এতে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন সিদলি বাজারে নেত্রকোনার হাজারো মানুষের যাতায়াত। যেতে হয় ব্যবসায়ী কাজে, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানে নেত্রকোনা। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনের ফলে সমস্যা বেড়েছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বেহাল রাস্তায় চলাচলকারী তাইতুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটিতে সাইকেল চালিয়ে যাওয়া এখন খুবই কষ্টকর। বাধ্য হয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের। এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ মিলেছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার রাজুর বাজার মেদনি ইউনিয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাড়িয়া পাড়ার মোড় সিদলি বাজার পর্যন্ত একটি অন্যতম সড়ক এটি। এই রাস্তায় চলাচলকারী শরিফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন কাজল জানান, এ রাস্তাটি নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল।
রাস্তাটি মেরামত না করায় রাস্তার বেশিরভাগ স্থানেই বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস তালুকদার জানান, রাস্তার অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে। দুর্গাপুর উপজেলা বাকলজোড়া ইউনিয়নের শিদলী বাজারের কলমাকান্দা উপজেলার কৈইলাটি ব্যবসায়ী নুরুল হক, কেশব বিশ্বাস, শাজাহান, হাসেম, কৃষক লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, হায়দার আলী খান, তারা বলেন, সিদলি বাজারের মানুষের প্রাণকেন্দ্র নেত্রকোনা শত শত ব্যবসায়ী পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসে এই সড়কে যাতায়াত করে। গত দুই বছর ধরে এই রাস্তাটি যাতায়াত করার অনুপযোগী হয়ে গিয়েছে। সংস্কার নামে জোড়াতালি দিয়ে জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতি করে যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ ও অনিমের ফলে কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের অনেক স্থান বড় ফাটল দেখা দিয়ে খানাখন্দ ভরপুর হয়ে গেছে। এদিকে নাড়িয়া পাড়া মোড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাজার পর্যন্ত একটি রাস্তা আড়াই কিলোমিটার। সংস্কারের নাম করে তালবাহানা করে, গত বছর সংস্কার করবে বলে কাজ শুরু করলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেই। এতে জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি এতিম খানা, মাদ্রাসা , মুক্তিযোদ্ধা বাজার, একটি পরিষদ। এতেই জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন এলজিইডি তত্ত্বাবধানে কাজে কিছু ঠিকাদারদের কারণে রাস্তাগুলো ধ্বংসস্তপে পরিণত হয়েছে। এলজিইডি কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষে রেন্টু মিয়া, হাসিম, রহিম, দিলু, শাজাহান, হুমায়ুনসহ নাম না জানা আরও অনেকেই স্কুল কলেজ পরোয়া শিক্ষার্থী চরম দুর্ভোগ্য পোহাতে রাস্তার সংস্কার এবং মুক্তির দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কাছে।