নাজিরপুরে ১দিনের ব্যবধানে অপহরন ও শিশু ধর্ষণ মামলা, গ্রেফতার-১
আকরাম আলী ডাকুয়া; পিরোজপুর, নাজিরপুর প্রতিনিধি।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় ০১ দিনের ব্যবধানে অপহরন ও শিশু ধর্ষণ মামলা দায়ের, গ্রেফতার-০১। জানা গেছে একই উপজেলার ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের উত্তর গাওখালী গ্রামের দিপক মজুমদারের কিশোরী কন্যা জুঁই মজুমদার (১৩) কে পিরোজপুর সদর থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের সনাতন মাঝির পুত্র সজীব মাঝি (২১) অপহর করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা নাজিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরনের নায়ক সজীবকে তার নিজ বাড়ী থেকে ১৬ই এপ্রিল গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নাজিরপুর থানা-পুলিশ একটি অপহরণ মামলা রুজু করে আসামী সজীবকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন এবং ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ ব্যপারে ভিকটিমের পিতা দিপক মজুমদার এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার কিশোরী কন্যাকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার পরে আমরা একাধিক বার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হই। ১৬ এপ্রিল নাজিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা-পুলিশের সহায়তায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে স্বক্ষম হই। অপর দিকে নাজিরপুর থানার সদর ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের আজিজ শেখ এর কিশোরী কন্যা খাদিজা আক্তার (১৩) কে একই এলাকার জনৈক জিয়া শেখ (৩০) নামক এক বখাটে কর্তৃক যুবক জোড় পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহআলম হাওলাদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি অভিযোগই আসছে, একটি অভিযোগের ভিকটিম উদ্ধার করে আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও অপহরন আইনে ৭/৩০ ধারায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরটি আজ ১৭ এপ্রিল নারী নিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পুলিশ আসামী গ্রেফতারের জন্য তৎপর আছে। যার মধ্যে একটির তদন্তাকারী কর্মকর্তা এস আই মাজাহার এবং অপরটির বৈঠাকাটা পুলিশ ফাঁরীতে কর্মরত তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তসলিমকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
আকরাম আলী ডাকুয়া
নাজিরপুর থানা, পিরোজপুর।