ফয়সাল শেখ: টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছেন দেশের বরেণ্য শিল্প উদ্যোক্তা, এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপার্স এর কো-চেয়ারম্যান, নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ড. মো. সাদী-উজ-জামান। ট্রাব’র উপদেষ্টা নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালাম মাহমুদ, ট্রাব ইউএসএ শাখার সভাপতি বেলাল আহমেদ, ট্রাব অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি প্রকৌশলী অর্ক হাসান, ট্রাব ইউএই শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, ট্রাব ইউরোপ শাখার সভাপতি মোঃ আবু তাহির, ট্রাব ভারত শাখার সভাপতি দেবাশীষ কোলে, ট্রাব কানাডা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ট্রাব সৌদি আরব শাখার সভাপতি সাগর চৌধুরী। গত ৩০ মে ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও পদ্মা হলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি আবাসন শিল্পে অবদানের জন্য ড. মো. সাদী-উজ-জামান-কে গণকণ্ঠ সম্মাননায় ভূষিত করেন।
মানুষের জন্য কাজ করে, সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে নিমগ্ন রেখে, দেশকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে নিরন্তর পরিশ্রম করে, জীবনভর অশুভের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করেন কল্যাণের কথা, সকল বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে সম্মুখ দিগন্তে ছুটে চলায় অন্তঃপ্রাণ; সততা, কর্মনিষ্ঠা ও আত্মপ্রত্যয়ের বুনিয়াদে গড়া এক বলিষ্ঠ শিল্পিত শিল্পউদ্যোক্তা, দেশের আবাসন শিল্পের উন্নয়ন ও উৎকর্ষে এক প্রদীপ্ত স্বপ্নস্বারথি নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাদী-উজ-জামান। সাংবাদিকতায় তিনি রেখে চলেছেন অনবদ্য অবদান। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ধারাবাহিকতায় এবার তিনি ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ ডায়েরি এর সম্পাদক এর পদ অলংকৃত করেছেন। নতুনধরা গ্রুপের প্রাণপুরুষ ড. মো. সাদী-উজ-জামান, যিনি আবাসন শিল্পের উন্নয়ন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। তিনি বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা মো. সাহিদুজ্জামান এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা শাহানারা বেগমের সুযোগ্য সন্তান। দেশের আবাসন শিল্পের এ প্রদীপ্ত বাতিঘর ১৯৮২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষা জীবনে একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি এস.এস.সি. ও এইচ.এস.সি. যথাক্রমে ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম থেকে বি.বি.এ. (প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান) ও এম.বি.এ. (প্রথম বিভাগে তৃতীয় স্থান) সম্পন্ন করেন। তিনি কম্পিউটার সাইন্স-এ ডিপ্লোমা এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আই.বি.এ. (IBA) থেকে এম.ডি.পি. কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ক্লাস কিউএস (QS) ফাইভ স্টার (5 Star) রেটিং European International University, EIU-Paris, France থেকে Real Estate Management Gi Dci Professional Doctoral Degree অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট এর উপর প্রফেশনাল ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত এ ইউনিভার্সিটি ড. মো. সাদী-উজ-জামান এর একটি স্পেশাল ফিচার তাদের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে যা সত্যি বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে সগৌরবে উপস্থাপন করতে এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন শেষে তিনি ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন বিশ্বের স্বনামধন্য বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি (HSBC) ব্যাংক থেকে। তিনি আবাসন খাতে শীর্ষস্থানীয় নামিদামি প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বশীল পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ইউ.এস.বাংলা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ড. মো. সাদী-উজ-জামান কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্রপ্রাপ্ত, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক Environmental Impact Assessment (EIA) অনুমোদনপ্রাপ্ত, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ছাড়পত্রপ্রাপ্ত, জেলা প্রশাসন কর্তৃক দায়মুক্তি সনদপ্রাপ্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করা ও আবাসন খাতের একটি অনন্য এবং নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন আই.এস.ও. ৯০০১:২০১৫ সার্টিফাইড কোম্পানি নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড।
তিনি আবাসন ব্যবসায়ীদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংস্থা বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (BLDA) কর্তৃক মনোনীত হয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (FBCCI) এর জেনারেল বডি (GB) মেম্বার হয়েছেন (২০২৩-২০২৫)। সম্প্রতি তিনি এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারস এর সম্মানিত কো-চেয়ারম্যান (২০২৩-২০২৫) হিসেবে মনোনীত হয়েছেন, পাশাপাশি তিনি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইয়াং এন্টারপ্রেনারশিপ-এর সম্মানিত সদস্য (২০২৩-২০২৫) হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, FBCCI-এর শীর্ষ ১৭টি অ্যাসোসিয়েশন-এর মধ্যে অন্যতম আবাসনখাতে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংস্থার নাম বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন (BLDA)। এই শক্তিশালী সংগঠন হতে আবাসন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে এমন শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের মধ্যে আইন অনুযায়ী মাত্র ৫ (পাঁচ) জনকে এ খাতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য FBCCI এর এই মেম্বার হিসেবে মনোনীত করার ক্ষমতা রাখে। আবাসন খাতে বিশেষভাবে অবদান রাখা এই শীর্ষস্থানীয় ৫ জন স্বনামধন্য আবাসন ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্থান পেয়েছে নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাদী-উজ-জামান। ফলে তিনি হাউজিং সেক্টরে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন FBCCI এ BLDA এর পক্ষ থেকে একজন সম্মানিত প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হলেন।
এ ব্যাপারে ড. মো. সাদী-উজ-জামান এর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি পরম করুণাময় আল্লাহ্’র কাছে শুকরিয়া আদায় করেন ও সেই সাথে BLDA এর সম্মানিত প্রেসিডেন্ট আহমেদ আকবর সোবহান এর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও BLDA এর সম্মানিত জেনারেল সেক্রেটারি মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও তিনি লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ডিগনিফাইড এর চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট এবং লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল এর রিজিয়ন চেয়ারপার্সন অফ দ্যা কেবিনেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। রিজিয়ন চেয়ারপার্সন হিসাবে তিনি স্বীকৃতি পান মাত্র ৮ (আট) মাসে যা এক অভাবনীয় অর্জন। মানবিক সেবা প্রদানের জন্য পেয়েছেন মেলভিন জোনস্ ফেলোশীপ (MJF) অ্যাওয়ার্ড। নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড দেশের আবাসন খাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এ ব্যাপারে অপরাজেয় বাংলাদেশ-কে তিনি বলেন, বর্তমান সময় ফ্ল্যাটের ব্যবসা চাঙ্গা। চাহিদা বেশি থাকায় আবাসন প্রতিষ্ঠানের হাতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা ফ্ল্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। সুযোগ-সুবিধা ভালো এমন এলাকার প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য ছাড়লেই দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাই নিত্যনতুন প্রকল্পও নিয়ে আসছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ, নিবন্ধন ব্যয় হ্রাস, সরকারি কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ প্রদান ফ্ল্যাটের বাজার চাঙ্গা করতে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিদেশি বিনিয়োগ আসার সাথে সাথে দেশের আবাসন খাত ও পর্যটন খাতও শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াবে।
নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, বর্তমানে এ খাতের ব্যবসা ভালো। চাহিদা থাকায় আমরাও নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। তবে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যয় বেড়েছে। প্রস্তাবিত ড্যাপের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। ড্যাপে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো অপরিবর্তিত থাকলে তাতে ফ্ল্যাটের দাম দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। আবার ভীতি ছড়াচ্ছে ২০১৬-৩৫ সালের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রস্তাবিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রস্তাবিত ড্যাপ বাস্তবায়িত হলে ফ্ল্যাটের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবর্তন ছাড়া প্রস্তাবিত ড্যাপ বাস্তবায়িত হলে উচ্চবিত্তের নিচে কেউ হয়তো ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন না।
দেশে নির্মাণাধীন ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ করতে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়, যেন ফসলী জমি নষ্ট না হয়। নদী-পরিবেশ দূষণ না হয়। যেন ঘনবসতি বারবার উঠিয়ে দিতে না হয়। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলগুলো পরিবেশবান্ধব হতে হবে, জলাধার থাকতে হবে, সবুজ বৃক্ষরাজি থাকতে হবে, সুন্দর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ইটিপি) থাকতে হবে।
দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে পদ্মাসেতুর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে দিচ্ছে। এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে ট্রান্স-এশীয় রেলপথের অংশ হবে। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়। একটি দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে একজন উদ্যমী, সৃষ্টিশীল, স্বপ্নবাজ মানুষ ড. মো. সাদী-উজ-জামান নতুন প্রজন্মের জন্য ‘নতুনধরা’ গড়ার উদ্যোগ নিলেন। এমন সৃজনশীল পরিচালনা পর্ষদের নান্দনিক দিক নির্দেশনায় আজ নতুন প্রজন্মের নতুন ঠিকানা-‘নতুনধরা’ সুপ্রতিষ্ঠিত। এ যেন এক ছন্দময় যুদ্ধ। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দৃশ্যমান ‘নতুনধরা’য় চলছে ‘নতুনধরা’ সৃষ্টির উল্যাস। জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু সংযুক্ত ৩০০ ফিট ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সাথেই গড়ে উঠা বিস্ময়কর, অপ্রতিদ্বন্দী আবাসন প্রকল্প- ‘নতুনধরা’ নতুন প্রজন্মের নতুন পৃথিবী। ঢাকার ব্যবসায়ীক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থেকে মাত্র ১৮ কি.মি. দূরত্বে গড়ে উঠছে এই নতুনধরা আবাসন প্রকল্প। দুইটি উপজেলা-সিরাজদিখান ও শ্রীনগর-এর তিন তিনটি ইউনিয়ন-কেয়াইন, হাঁসাড়া ও বীরতারা জুড়ে গড়ে উঠেছে স্বপ্নের এই আবাসন প্রকল্প- ‘নতুনধরা’। ইতোমধ্যে ‘নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড’ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবেশগত অনাপত্তি সনদ, উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রকল্প কাজের প্রশংসাপত্র, জেলা প্রশাসকের দায় মুক্তি সনদ ‘নতুনধরা’ আবাসন প্রকল্পের শতভাগ স্বচ্ছতারই স্বীকৃতি। এছাড়াও জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল অনুযায়ী জমি ক্রয় এবং মিউটেশন করার অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রেডমার্ককৃত একমাত্র প্রতিষ্ঠান ‘নতুনধরা’।
‘নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড’ বর্তমানে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস এসোসিয়েশন (BLDA) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) এর একটি গর্বিত সদস্য প্রতিষ্ঠান। ‘নতুনধরা’ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিস্ট্রার্ড কোম্পানি। বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সপ্রাপ্ত ‘নতুনধরা’ আন্তর্জাতিক কর্মমান নির্ধারণী সংস্থা ISO এর বিবেচনায় প্রথম দিকে ISO ৯০০১:২০০৮ বর্তমানে ISO ৯০০১:২০১৫ সার্টিফাইড, সরকারি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা রাজস্ব কমিটি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা স্মারকপ্রাপ্ত কোম্পানি, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত অতি মূল্যবান দেড় দশকের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্বলিত সরকারি স্মারক গ্রন্থের মলাটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মাধ্যমে একমাত্র আবাসন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানপ্রাপ্ত কোম্পানি, ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক কৃতজ্ঞতা পত্রপ্রাপ্ত একমাত্র আবাসন কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট দুই (০২) উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক শুভেচ্ছা স্মারকপ্রাপ্ত, প্রতিষ্ঠিত আবাসন প্রকল্পকে শতভাগ সফলতার সাথে সম্পূর্ণরূপে টেকওভার (ক্রয়) করা একমাত্র কোম্পানি।
বর্তমানে ‘নতুনধরা’ আবাসন প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্রপ্রাপ্ত এবং অতি মূল্যবান পরিবেশের EIA (Enviornmental Impact Assessment) অনুমোদন প্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান যা আবাসন সেক্টরে সব চেয়ে কম সময়ে স্বচ্ছতার সাথে আস্থা ফেরাতে আপোষহীন থেকে অর্জন করেছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (DTCA)) কর্তৃক ছাড়পত্র পেয়েছে ‘নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড’।
‘নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড’নাগরিক এবং জাতীয় দায়িত্ববোধের তাগিদে প্রজাতন্ত্রের কল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থেকেছে সগৌরবে। ইতোমধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তর, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), ঢাকা জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ২১তম, ২৫তম ও ২৮তম বিসিএস ফোরাম, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও নটরডেম কলেজ-এর আমন্ত্রণপত্রে সাড়া দিয়ে জাতীয় দিবসমূহে অন্যতম বিশেষ জনহিতকর কার্যক্রমে গর্বিত স্পন্সর হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন সবসময়। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত ও অসহায় এতিম শিশুদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। এহেন কর্মকাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে সহযোগীতা ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তাঁর প্রতিভাবান স্ত্রী মেরীনা সাদী, যিনি নতুনধরা এসেটস্ লিমিটেড-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সম্প্রতি তিনি দুবাইয়ের বিজনেস সামিটে inspiring women entrepreneur of the Year 2023 অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি আমেরিকার স্বনামধন্য ম্যাগাজিন Business America কর্তৃক প্রকাশিত 100 Most Successful Female Entrepreneurs of Bangladesh Gi Special Edition এ একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অসামান্য গৌরব অর্জন করেন। অতি মূল্যবান এই ¯েপশাল বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয় ৮ ই মার্চ ২০২৪ তারিখে হোটেল শেরাটনে এক সমৃদ্ধশালী ও আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান, কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান এন্ড ফাউন্ডার ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী। ড. মো. সাদী-উজ-জামান বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’ ডিএফপি মিডিয়াভূক্ত ও সরকার প্রণীত ৮ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নকৃত (মিডিয়া এনলিস্টেড শীর্ষ ২০ নম্বর জাতীয় দৈনিক পত্রিকা) ও সরকারি মিডিয়া তালিকায় ৪র্থ স্থান অর্জনকারী জাতীয় ম্যাগাজিন ‘মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর ‘প্রধান সম্পাদক’ হিসাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেইম অ্যাওয়ার্ডস (BIFA), অপু শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা, ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস্ এর উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন এর আহ্বায়ক ও ‘বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব’ (মতিঝিল শাখা) এর উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন (SOFEN) ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ এর আজীবন সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
তিনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে সুনাম কুড়িয়েছেন। শিক্ষা, সমাজসেবা এবং ব্যবসায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন অনেক অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (TRAB) আয়োজিত ২০তম ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড ২০২০, বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০, মালদ্বীপ ইন্টারন্যাশনাল পীস অ্যাওয়ার্ড-২০২১, অর্থকন্ঠ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২০, ‘ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ডস-২০২২, Bangladesh International Fame Awards-2022 (BIFA Awards 2022), দাদাসাহেব ফালকে আইকন অ্যাওয়ার্ডস্-২০২২, Bangladesh International Fame Awards-2023 (BIFA Awards 2023),সার্ক পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২২, বঙ্গ গৌরব সম্মাননা-২০২৩, দেশের ডাক পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, গ্লোবালব্র্যান্ডস-ট্রাব বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, হিউম্যান রাইটস পীস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, বাংলাদেশ এচিভারস্ অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩, গ্লোবালব্র্যান্ডস-ট্রাব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩, কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৩, মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, গ্লোবালব্র্যান্ডস-ট্রাব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩। সম্প্রতি তিনি আমেরিকার স্বনামধন্য ম্যাগাজিন Business America কর্তৃক প্রকাশিত Top 100 Most Inspiring Young Bangladeshi Entrepreneurs in the World Gi Special Edition এ একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভাবনীয় গৌরব অর্জন করেন। পাশাপাশি ‘ট্রাব স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪, Bangladesh International Fame Awards-2024 (BIFA Awards 2024) ও চ্যানেল আই কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা স্মারকে ভূষিত হন।
সমৃদ্ধশালী এ সকল অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরন্তর ছুটে চলা এই কর্মবীর আবাসন শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তি ড. মো. সাদী-উজ-জামান-কে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।