হাফিজ রহমান: দেশের বরেণ্য সাংবাদিক আলহাজ্ব নুরুদ্দিন আহমেদ কে আজীবন সম্মাননা দিচ্ছে টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ ট্রাব। আগামী ২১ শে ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ক্রিষ্টাল বলরুমে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ ট্রাব এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নতুনধরা গ্রুপ প্রেজেন্টস ট্রাব বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪। বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে বরেণ্য সাংবাদিক আলহাজ্ব নুরুদ্দীন আহমেদকে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। ট্রাব’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুনধরা গ্রুপ প্রেজেন্টস ট্রাব বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ এ অর্থ, শিল্প, বাণিজ্য, সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে নেপালের কাঠমুন্ডু কেএমসি অডিটোরিয়ামে সার্ক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বি সুব্বা গুরুং ও নেপাল প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলকৃষ্ণ বাসনেট নুরুদ্দীন আহমেদ কে সার্ক গ্লোবাল লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ এ ভূষিত করে।
নুরুদ্দীন আহমেদ-এর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৫ আগষ্ট ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা মরহুম আলহাজ আবদুল মান্নান এবং মাতা মরহুমা রমন বিবি’র ৪ পুত্র ২কন্যা সন্তানের মধ্যে নুরুদ্দিন আহমেদ ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়।
প্রখর মেধাবী নুরুদ্দীন আহমেদ স্কুল এ কলেজে পড়াশোনা শেষে যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পার্সোনাল ফটোগ্রাফার হিসেবে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ফটো সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র আলহাজ্ব নুরুদ্দিন আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি আরব, কুয়েত, দুবাই, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, পকিস্তান, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালেয়শিশা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, অ্যামেরিকা, জাপান, ইয়ামেন, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, জর্ডান, চীন, তুরস্ক, মায়ানমার, কানাডা, ইতালী, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সফর করেন।
দূরদর্শী ও ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব নুরুদ্দিন আহমেদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচবার সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের শিল্প খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব নুরুদ্দিন আহমেদ এনটিভি’র পরিচালক হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি বীমা খাতের ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর পরিচালক হিসেবে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশ বরেণ্য সাংবাদিক নুরুদ্দিন আহমেদ ক্রীড়াঙ্গনেও তাঁর পৃষ্ঠপোষকা উল্লেখযোগ্য। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, সানরাইজ স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উল্লেখ্য, জনাব আহমেদ এর সক্রিয় ভূমিকার জন্য শুধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, সানরাইজ স্পোর্টিং ক্লাবই নয় দেশের সামগ্রিক ক্রীড়া খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।
এখানেই শেষ নয়; জনাব নুরুদ্দিন আহমেদ এর সাংগঠনিক বিস্তৃতি আরো অনেক। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র দর্শক ফোরামের সভাপতি। তিনি সার্কভূক্ত দেশ সমূহের অন্যতম সাংবাদিক সংগঠন -“সার্ক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন” বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সম্মানিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আলহাজ্ব নুরুদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন ধর্মীয়, শেশাজীবী ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের যেমন দু’হাত উজাড় করে সমর্থন দিয়েছেন, তেমনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো তাঁকে সাম্মানিত করেছে বিভিন্ন পদক, প্রশংসাপত্র ও পুরস্কার দিয়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সার্ক গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ ফটো সাংবাদিকতায় লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এছাড়াও তাঁর কর্মক্ষেত্রের ব্যাপক বিচরণ এর স্বীকৃতিস্বরূপ ফটো সাংবাদিকতায় “কুরআন শিক্ষা মিশন বাংলাদেশ সম্মাননা পদক ২০০৯, শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি পুরস্কার ২০১০, গ্লামার মিডিয়া পুরস্কার ২০০৬, বিপিএস বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটি পুরস্কার ২০০৬, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন পুরস্কার ২০০৮ এবং ১০, শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফার পুরস্কার ২০০৩, ৫০ বৎসরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সূবর্ণ জয়ন্তী ২০০৪ আলোকচিত্র প্রদর্শনী পুরস্কার, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) থেকে ১৯৯৬ সালে ‘জিয়া স্বর্ণপদক, শেরেবাংলা সাংস্কৃতিক পুরস্কার ২০০৮, ফটো সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ‘ললিতকলা একাডেমী কর্তৃক স্বর্ণপদক পুরস্কার’, এবং ২০০৯ সালে সেলিব্রিটি অ্যাওয়ার্ড, সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবিত্র পুরস্কার, জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রী স্বর্ণপদক পুরস্কারসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননা অর্জন করেন।